স্টাফ রিপোর্টার : চুনারুঘাট উপজেলার শাইল গাছ গ্রামে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় অনুষ্ঠানে জুয়া খেলা বসাতে না দেওয়ায় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোঃ সাহেদ মিয়া ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজক মনির মিয়া ও সাজিদ মিয়ার সাথে বাক-বিতন্ডা হয়।
খেলায় কোনরূপ জুয়া ও অনৈতিক অশ্লীল ও অসামাজিক কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবে বা বলে সাফ জানিয়ে দেন, ঘোড় দৌড় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ফখরুল ইসলাম চৌধুরী।
এ খবর শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে প্রতারক শাহেদ ও তার সহোদর এখলাছ লিটন, আলমগীর। মূহুর্তের মধ্যেই তারা ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় অনুষ্ঠান নিয়ে সানাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার শুরু করে।
শাহেদ আয়োজকদের বিভিন্নভাবে দেখিয়ে দিবে বলে হুমকি দেন। ২১ শে মার্চ সোমবার সকাল ১০ টায় শাইলগাছ গ্রামের তার নিজ বাড়িতে ঘোড় দৌড় আয়োজক ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মারধোর ও লুঠ পাঠের অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মেডিকেল সার্টিফিকেট তলবের আদেশ দেন।
ঘোড় দৌড় অনুষ্ঠানের সভাপতি মোঃ ফখরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জুয়া খেলা বসানো নিয়ে আয়োজক দের সাথে শাহেদের তর্ক বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু মারামারি ঘটনা ঠিক নয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আব্দুল কাদির লস্কর বলেন, হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় হল শাইলগাছে। দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত সুনামের সাথে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে। যা জেলার মানুষ উপভোগ করে। আমি ওই প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করি।
চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাওছার আহমেদ জানান, শাহেদ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বিগত সময়ে চুরির অভিযোগে ইউনিয়ন অফিসে মুছলেখা দিয়ে ছাড় পায়। এছাড়াও তার নামে জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে।